স্টাফ রিপোর্টার:: ছোট বড় সবার কাছে লোভনীয় একটি খাদ্য আইসক্রিম। বিশেষ করে প্রচন্ড গরমে রোদের তীব্র খরতাপে শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষের প্রাণ জুড়ায় অনন্য স্বাদের আইসক্রিম।
এ চাহিদাকে পুঁজি করে বিএসটিআইর অনুমোদন ছাড়াই সিলেট নগরীর যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে বিভিন্ন আইসক্রিম, আইসবার কারখানা।
ঠিক তেমনি বিএসটিআইএর অনুমোদনবিহীন নুরানী আইসক্রিম ফ্যাক্টরী নামে নিম্নমানের একটি আইসক্রীম কারখানা গড়ে উঠেছে সিলেট নগরীর বাগবাড়ী নরশিংটিলা এলাকার ৭ নং গলিতে।
জানাযায়, বাগবাড়ী নরশিংটিলা আবাসিক এলাকার ৭ নং গলির বাসিন্দা আলাউদ্দিন নিজেকে আওয়ামী লীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে আবাসিক এলাকায় বিএসটিআই, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে অবৈধ ভাবে থ্রি ফেইস বিদ্যুৎতের লাইন নিয়ে নুরানী আইসক্রিম ফ্যাক্টরী তৈরী করেন।
উল্লেখ্য তার এই আইসক্রিম ফ্যাক্টরীতে ২/৩ বার অভিযান করে ও কোন লাভ হয়নি। প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় বহাল তবিয়তে আছে নুরানী আইসক্রিম ফ্যাক্টরী
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে গড়ে ওঠা অবৈধ এই কারখানায় আইসক্রিম তৈরীতে পানির সঙ্গে ঘনচিনি, আটা, ময়দা, সেকারিন ও বিভিন্ন কালারের রঙ মিশিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে আইসক্রীম।
অবৈধ এই কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরিকৃত আইসক্রিম খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন তরুন, যুবক, নারী ও শিশুসহ সাধারন মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রকাশ্য দিবালোকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম ও আইসবার তৈরি করা হয় কারখানায়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কতিপয় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা এবং ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রভাব খাটিয়ে নুরানী আইসক্রিম ফ্যাক্টরী পরিচালনা করেন আলাউদ্দিন।
এ ছাড়া পানি মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খালি গায়ে আইসক্রিম ও আইজ বার তৈরি করেন এই ফ্যাক্টরির কর্মচারীরা।
প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকায় ও আবাসিক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ এই আইসক্রিম কারখানাটি।
নরশিংটিলা এলাকায় গিয়ে দেখাযায়, কারখানা মালিক নুরানী আইসক্রিম নাম ব্যবহার না করে বিভিন্ন কোম্পানির নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের আইসক্রিম তৈরী করে বাজারজাত করছেন সিলেট মহানগরীসহ সর্বত্র। অবৈধ এই কারখানার মালিক আলাউদ্দিন আহমদ।
জেলা প্রশাসন কর্তৃক কোন নজরদারি না থাকায় অবৈধ এই আইসক্রিম কারখানা মালিক পুরোদমে চালাচ্ছে উৎপাদন ও বিক্রয় কার্যক্রম। নোংরা পানি সঙ্গে ঘনচিনি, আটা, ময়দা, সেকারিন ও বিভিন্ন কালারের রঙ মিশিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে এসব আইসক্রীম।
এব্যাপারে নুরানী আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর মালিক আলাউদ্দিন আহমদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সময় টিভি বাংলাকে বলেন আমরা ছোটখাট ব্যবসা করে পরিবার চালাচ্ছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন নাই। আবাসিক এলাকায় কারখান করা অবৈধ এব্যপারে আপনারা বক্তব্য কি জানতে চাইলে আবারও বলেন ভাই আমরা ছোটখাটো ব্যবসা করছি এতো কিছু চিন্তা করিনি।
সচেতন মহলের বক্তব্য অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরিকৃত এসব খাদ্য শিশু স্বাস্থের জন্য মারত্বক হুমকি স্বরূপ। এসব আইসক্রিম খেলে ডায়রিয়া, আমাশয় ও শিশুদের দেহে টাইফয়েডের সম্ভাবনা থাকে। এ সব আইসক্রিম সোডিয়াম সাইক্লোমেড নামক ঘনচিনি ব্যবহৃত হয় যা খেলে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের পেটের অসুখ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধিপায়।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বলেন, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হয়তো এরকম অবৈধ ফ্যাক্টরি গড়ে উঠতে পারে আমরা খুব শিগগিরই এই ধরনের কারখানা বিরুদ্ধে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।