নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানাধীন আলমপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে বাবলু নামক এক টমটম চালকে হত্যার উদ্দেশ্য উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতে আহত বাদশা আহমদ বাবলু বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে।
এই হামলার ঘটনায় আহত বাবলুর পিতা দক্ষিণ সুরমা থানার ঝালোপাড়া স্বপ্ননীড়-১৬০ নং বাড়ীর বাসিন্দা মো: মো: রাজা মিয়া বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে বিবাদী করে ১৭ এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার এসএমপির মোগলাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় বিবাদীরা দীর্ঘদিন থেকে আলমপুর এলাকায় চালকসহ বিভিন্ন মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসছে। এমনকি টমটম চালকদেরকে মারধরও করেছে। বিবাদী চক্রটি দাঙ্গাবাজ, সন্ত্রাসী ও প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের সাথে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে ১ নং বিবাদী কাদিরের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় কাদির বাবলুকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ১৬ এপ্রিল বুধবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ ঘটিকার সময় ঝালোপাড়া এলাকার রাজা মিয়ার পুত্র বাদশা আহমদ বাবলু (৩৩) যাত্রী নিয়ে আলমপুর গেলে অভিযোগে উল্লেখিত ১ ও ২ নং বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন বাবলুকে একা পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্য অস্ত্রে স্বস্ত্রে স্বজ্জিত হয়ে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে গাড়ীর পথরোধ করে তাহাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লিলাফুলা ও জখম করে। এসময় ২ নং বিবাদীর জিআই পাইপের আঘাতে মাঠিতে লুটিয়ে পড়লে ১ নং বিবাদী চাকুদিয়ে বাবলুর বুকে আঘাত করলে তিনি সরেযান সেই আঘাত উরুতে লেগে মারাত্মক রক্তাক্ত হয়। অজ্ঞাতনামারা লাতি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এসময় আশ-পাশে থাকা জালাল উদ্দিন ও জয়নাল আবেদীন এগিয়ে এসে সন্ত্রাসী কাদির গংদের হাত থেকে রক্তাক্ত বাবলুকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। বর্তমানে বাবলু হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
বিবাদী কাদিরেরও তিনটি মিশুক আছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। তবে সে চালক না হলোও মাঝেমধ্যে গাড়ী চালায়।
মামলায় বিবাদীরা হলেন (১) মোগলাবাজার থানাধীন আলমপুর লামারগ্রামের কাদির (৪৫) এবং একই থানার আলমপুর গ্রামের শাহিন(৩০)