আব্দুল মুক্তাদীর:: দিনমজুরের জমি এবার ভূমি খেঁকোদের দখলে। এ ব্যাপারে সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরিকালে জানা যায়, ক্রয়কৃত ভূমির উপর জোরপূর্বকভাবে প্রশাসনের যোগসাঁজসে কতিপয় ভূমিখেঁকো চক্র একটি পাঁকা ঘর নির্মাণ করে। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় থানা পুলিশকে জানালেও থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে নিরব ভূমিকা পালন করে। ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের বিশ্বনাথ থানার সিংরাওলী গ্রামের মৃত আব্দুস ছত্তারের পুত্র দিমজুর শানুর আলীর (৪৫) সাথে।
প্রতিবেদন তৈরিকালে ভুক্তভোগী শানুর আলী জানান, গত ৮ মার্চ ২০২৫ইং তারিখে একই গ্রামের টুনু মিয়া (৭০), বিলাল মিয়া (৪০), তাজু মিয়া (৩৫), শাহীন মিয়া (৩০), সুমন মিয়া (২৮), সিরাজ আলী (৬০), সাইদুল ইসলাম (২০), আব্দুল আমিন (২৫), আজাদ মিয়া (৬৫) গং জেএল নং ৫২, খতিয়ান নং ৮৮৭ এবং ৫৪৯ নং দাগের বাড়ী রকম ভূমির উপর জোরপূর্বকভাবে একটি পাঁকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে শানুর আলী তখন বাধাঁ দেন। তবে ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়ায় টুনু মিয়া গং লাঠি শোঠা নিয়ে শানুর আলীকে প্রাণে মারার জন্য চেষ্টা করে। তখন ভয়ে শানুর আলী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে গ্রামের মুরব্বীয়ানদের কাছে বিচারপ্রার্থী হলে টুনু মিয়া গং আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। টুনু মিয়া গং শানুর আলীকে জানায়, প্রাণে বাচঁতে হলে গ্রাম ছেড়ে চলে যা। বিষয়টি শানুর আলী বিশ্বনাথ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে, অভিযোগ দায়েরের ১০ দিন পর ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তখন টুনু মিয়া গং দের বলে ঘর নিমার্ণের কাজ চালিয়ে যেতে এবং ভুক্তভোগী শানুর আলী কে বলে কোন কিছু কথা না বলতে। এ ব্যাপারে শানুর আলী টাকার অভাবে আদালতে মামলা না করে লিগ্যাল এইড এর মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনার প্রায় ১ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো পদক্ষেপ বা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিষয়টি সাংবাদিক মহল সরেজমিনে টুনু মিয়া গংদের সাথে আলাপ কালে টুনু জানায়, উক্ত ভূমি আমরা ৪৬ বছর পূর্বে ক্রয় করেছি। কিন্তু ক্রয়কৃত ভূমির দলিল এবং এসএ ফর্সা দেখাতে পারেনি। শুধু বিএস ফর্সা দেখিয়ে মালিকানা দাবী করে জোরপূর্বকভাবে ঘর নিমার্ণ করে। তবে টুনু মিয়া গংদের উক্ত ভূমির ক্রয়কৃত দলিল ও এসএ ফর্সা ১ সপ্তাহের মধ্যে দেখানোর কথা থাকলেও তাহা আর রহস্যজনক কারণে দেখাতে পারেনি। এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, এটা আমাদের কিছু করার নেই। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এদিকে শানুর আলী টাকার অভাবে মামলা করতে পারছেন না বলে জানান। তবে এ ব্যাপারে ন্যায় বিচারের স্বার্থে গত ৬ এপ্রিল সিলেট পুলিশ সুপার বরাবর আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে ভুক্তভোগী শানুর আলী জানান, গত প্রায় ২৫ বছর পূর্বে টুনু মিয়া গং দের কাছ থেকে ১৪ শতক ভূমি ক্রয় করার সময় বিশ্বাস করে তাদের কথামত টাকা দেই। কিন্তু রহস্যজনক কারণে টুনু মিয়া গং ১১ শতক ভূমি রেজিস্টারী করে দেয়। বাকী ৩ শতক গ্রামের মুরব্বিয়ানদের সাথে নিয়ে দাবী করলে গ্রামের মুরব্বিয়ানরা শানুর আলীকে না দাবীপত্র করে ৩ শতক ভূমি দিতে বলেন টুনু মিয়া গং দের। কিন্তু রহস্যজনক কারণে টুনু মিয়া গং এখন না দাবীপত্র অস্বীকার করে এবং বলে, প্রাণে বাচঁতে হলে বাড়ী ছেড়ে চলে যেতে। এ ব্যাপারে শানুর আলীর পরিবারের লোকজনদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রতিবন্ধী সন্তানকে তুলে নেওয়ার হুমকী দেয় এবং তারা বলে এ বিষয় যেন পুলিশের কাছে না যায়। এমতাবস্থার প্রেক্ষিতে শানুর আলীর পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। তবে শানুর আলী তার ক্রয়কৃত ভূমি দখলবাজদের কাছ থেকে উদ্ধার করতে প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবী জানান।