নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট বিশ্বনাথ উপজেলার, কালিগঞ্জ বাজারের বাজিতপুর এলাকার লন্ডন প্রবাসী রিপন মিয়ার উপর মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়ছে।
স্থানীয় সূত্রে ও মামলার এজাহারে জানা যায়, মামলার বাদী আমজাদ হোসেন,পিতা -মৃত আকরাম আলী, মোল্লার গাঁও উপজেলা, থানা -বিশ্বনাথ, জেলা সিলেট। গত ২১/৮/২৪ ইং১৬:০৫ ঘটিকায় বিশ্বনাথ থানায় ২৫ জন আসামী ও অজ্ঞাত ৫০ জন করে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ১২।
১ নং, আসামী শফিকুর রহমান চৌধুরী (৫৫)পিতা – মৃত মুতলিব মিয়া, গ্রাম ২২ ঘর (চান্দভরাং), থানা- বিশ্বনাথ, জেলা সিলেট।২নং, শামীম ওরফে চাকু শামীম (২৮)পিতা- আবুল কালাম গ্রাম পূর্ব জামাইয়া, উপজেলা -বিশ্বনাথ, জেলা সিলেট। ৩নং, ফারুক আহমদ( ৫০) পিতা – মৃত আফতাব আলী, ৪নং,মহিবুর রহমান সুইট( ৩৫)পিতা – নুরুল হোসেন, তেলিকুনা, বিশ্বনাথ ৫নং,বশির ওরফে এঙ্গেল বশীর (৪৫)পিতা -পিতা – মৃত ইরফান আলী, গ্রাম -দশপাইকা ( দোলতপুর) ৬ নং, ফখরুল আহমদ মতসিন( ৫০)পিতা -মৃত আছকির আলী, ৭নং,এস এম নুনু মিয়া (৪৫),পিতা- মৃত আরপান আলী, ৮ নং, ফজর আলী (৩৫)মোল্লার গাও, বিশ্বনাথ, ৯নং চখর আলী (৩৮)পিতা – সফর আলী, মুন্সির গাঁও লামাকাজি, ১০ নং,মোঃ রিপন মিয়া, পিতা -মোঃআফতাব আলী, গ্রাম – বাজিতপুর, কালীগঞ্জ বাজার, উপজেলা- বিশ্বনাথ, সিলেট।
১১ নং,গিয়াস উদ্দিন (৩৫),পিতা -মৃত আব্দুর রহমান, দিপন্দ বিলপাড় থানা -বিশ্বনাথ। ১২ নং,কালা দুদু(৩২),পিতা, খুরশিদ আলী,গ্রাম- তবলপুর, ১৩ নং,ছাদিক (৩৫),পিতা – তোতা মিয়া, ১৪ নং, শংকর চন্দ্র ধর(৩৮),পিতা-ধীরেন্দ্র ধর, মোহাম্মদপুর, উপজেলা /থানা – বিশ্বনাথ।
১৫ নং জাবের ওরফে বকরি যাবের,(৩০),পিতা-অজ্ঞাত, ১৬নং, সিতার মিয়া (৩৭),পিতা- লালু মিয়া, উপজেলা – বিশ্বনাথ।
১৭ নং আখতার হোসেন, পিতা- আশিক আলী, ১৮ নং, আব্দুল হক (৪০),পিতা – রইছ আলী, ১৯ নং,রাজু আহমদ, পিতা – ছোরাব আলী, চৌধুরী গাঁও, উপজেলা -বিশ্বনাথ, সিলেট। ২০ নং, সিরাজুল ইসলাম রুকন( ২৬),পিতা – তবারক আলী। ২১ নং, কয়েছ আহমদ(২৮),পিতা -মৃত সমর আলী, গ্রাম – জানাইয়া, উপজেলা – বিশ্বনাথ, ২২নং, ফয়জুল(৩৮),পিতা – সোনাফর আলী। ২৩ নং, জাকির ওরফে ব্লেক জাকির( ২৮),
পিতা – এলাইছ মিয়া। জানাইয়া উপজেলা- বিশ্বনাথ। ২৪ নং, রঞ্জু দাস (৩৫)পিতা – রমেশ চন্দ্রদাস, গ্রাম, নোয়ারাই, উপজেলা- বিশ্বনাথ, সিলেট। ২৫ নং, আলী আহমদ( ৪০)পিতা – শুকুর আলী, গ্রাম – রায়পুর, বিশ্বনাথ, সিলেট। ও অজ্ঞাত আরো ৫০ জনকে আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী আমজাদ হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেন, আমি পেশায় ১ জন ব্যবসায়ী লোক হই, আল হেরা শপিং সেন্টারে আমার দোকান আছে, পাশাপাশি আমি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসতেছি, রাজনীতির সাথে জড়িত আমজদ আলী। এই কারণে বিশ্বনাথ পুরান বাজার, বাসস্ট্যান্ডের সামনে মুসলিম মিষ্টি ঘরের পাশে বিশ্বনাথ জগন্নাথপুর পাকা সড়কের উপর, ০৪ /০৮/২০২৪ ইং দুপুর অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় আসামীরা আমাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্য হুমকি ও মাথায় ছেদ মারিয়া ঘোরতর জকম করে। আমাকে খুন করা হয়েছে নিশ্চিত হওয়ার পর তারা চলে যায়। মামলার ধারা নং ১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৪৩৮/১১৪/১০৯/প্যানেল কোড ১৮৬০,মামলাটি রুজো করো হয়।
গত ০৩/০৮/২৪ ইং তারিখে ১ নং আসামী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে একটি মিটিং করেন, উক্ত মিটিং এ তিনি আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকাইয়া রাখার জন্য বিশ্বনাথের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন কে নির্দেশ দেন, বিশ্বনাথের জামাত শিবিরকে তালিকা করিয়া, উচিত শিক্ষা ও এমনকি প্রয়োজনে ঘুম হত্যা করিয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন ব্যর্থ করার পরামর্শ ও নির্দেশ প্রদান করে। এই নির্দেশের ফলে, জামায়াত নেতা কর্মীকে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে দেখা মাত্রই মারপিট, খুন, যখম, করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১ নং ও ৩ নং আসামি বলেন জামাত শিবির
কে শায়েস্তা করতে যত টাকা পয়সা,অস্ত্র লাগবে সব তিনি যোগান দিবেন,বলে প্রকাশ্য হুমকি দেয়। ৪/৮/২৪ ইং তারিখে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি সহ ৯ দফা পরবর্তীতে হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায় লক্ষ্যে সমাবেশের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল।ঐ ৪/৮ /২৪ ইং তারিখে আওয়ামী লীগ নেতারা কর্মীদের ডাক দেয়, দা, লম্বা ছুরা, অস্ত্র সহ, একনলা পাইপ,রামদা, কিরিচ, রড, পিস্তল জমায়েত রাখে, তাদের হাতে রাখে।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ও সাধারণ জনগণ, বিশ্বনাথের ভীতিকর,বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে কোটা সংস্কারের নেতাকর্মীরা সতর্কতা অবলম্বন করে, এই অবস্থায় ৪/৮/২৪ ইং দুপুর অনুমান ১২:০০ ঘটিকার সময় আমজাদ হোসেন মোটর সাইকেল নং সিলেট হ-১৫ – ৩৪২৫ যোগে আমজাদ হোসেন তার নিজ দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় ঘটনাস্থলে পৌছা মাত্রই ১০ নং আসামী ৪ নং, ৩নং, ৫ নং ৬ নং ডেগার, রামদা,কিরিছ, হাতে নিয়ে বলে, আমজাদ যারগি, ধর,বলে ২/৩/৪/৫/৬/৭/৮/৯/১০/১১/১২/১৩/১৪/১৫/১৬/১৭/১৮/১৯/২০/নং আসামী গণ আমার মোটর সাইকেলের সামনে ঘেরাও করে।
৭ নং আসামী হুকুম দিয়ে বলে ধর মেরে ফেল ওকে আমজাদ হোসেন চলে যাচ্ছে তখনি ২১/২২ /২৩/২৪/২৫ নং আাসামীগণ আমজাদ হোসেন কে জানে মারার জন্য একজোট হয়ে আমজদকে পিঠাইতে থাকে, চাককু শামীম রামদা দিয়ে আমার মাথায় মারে, আমি মাটিতে পড়ে যাই, আমি মৃত ভেবে নিশ্চিত হওয়ার পর তারা চলে যায়। এলাকার লোকজন আমাকে উদ্ধার করে, ১০ ও ২৫ নং আসামী আমার মোটর সাইকেলে জালিয়ে দেয়, আমার ২,০০,০০০ দুই লক্ষ টাকার কতি সাধন করে। ৫ দিন ভর্তি থাকার পর সুস্থ হই।
এ ব্যপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ রিপন মিয়া( দেওকলস) বলেন বাদী যে তারিখে মামলা দায়ের করেন, রিপন লন্ডনে ছিলেন। কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন না, আসামি রিপন মিয়া মিথ্যা মামলা র শিকার হয়েছেন বলে দাবী করেন। তিনি আরো বলেন এলাকার প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি, ভুয়া মামলা দিয়েছে।
রিপন মিয়া মামলা বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, এই মামলার ওয়ারেন্ট বের হয়েছে, ১৯/২/২৫ ইং তারিখে।
এমতাবস্থায় মোঃ রিপন মিয়া প্রাণের নিরাপত্তা ও গ্রেফতার এর ভয়ে হীনতায় ভুগছেন। এমনকি রিপন মিয়ার গ্রাম বাজিতপুরে গিয়েও তার পরিবারকে অপদস্ত ও হেনস্তা করা হচ্ছে। বাড়িঘর বসতভিটা জালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসামী রিপন মিয়া অথৈ সাগরে এখন রয়েছেন। কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
বিবাদী রিপন মিয়া মিথ্যা রাজনৈতিক মামলার আসামী হয়েছেন লন্ডনে বসে থেকেও বিবাদী দুঃখপ্রকাশ করেছেন। এলাকাবসীর কাছে ও ছাত্র জনতা ও প্রশাসনের কাছে।