নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট মহানগীরর ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু কালীঘাট, মহাজনপট্টি ও লালদিঘীর পাড়। সেই খালিঘাট, মহাজনপট্টি ও লালদিঘির পাড়ে সয়লাভ ভারতীয় অবৈধপণ্যে। সেই অবৈেধ চোরাই পণ্যের বড় একটি অংশ চিনি। কালীঘাটের কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী পুলিশের নাকের ডগায় চোরাকারবারিদের সাথে হাত মিলিয়ে জমজমাট অবৈধ চোরাই চিনির ব্যবসা করে যাচ্ছে। তাদের শেল্টার দিচ্ছে ডিবি'র সদর উপজেলা লাইনম্যান ইমন এবং যুবদলের কিছু স্থানীয় নেতা।
বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কিছু নেতা নিয়ন্ত্রণ করতো ৫ আগস্ট সরকা পরিবর্তনের পর হাত বদল হয়ে এখন এই অবৈধ চোরাই চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে যুবদলের স্থানীয় কিছু নেতা এবং ডিবি'র সদর উপজেলা লাইনম্যান ইমাম।
এব্যপারে ইমনের সাথে সরাসরি কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বলেন, বন্দরবাজার ফাঁড়ি ইনচার্জ, কোতোয়ালির ওসি, শাহপরান থানার ওসি এবং মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি পুলিশ তিনি নিজ দায়িত্বে ম্যানেজ করেন, তাই তারা এখানে কোন অভিযান চালাবেনা। এছাড়াও সিলেটের বড় বড় সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক বখরা দিয়ে তিনিই ম্যানেজ করেছেন। তাই ছোটখাটো সাংবাদিককে তিনি হিসাবে ধরেননা। এছাড়া কালিঘাটে চোরাই চিনি ঢুকার সাথে সাথে বৈধ হয়ে যায়। কালিঘাটে চোরাই চিনি ঢুকার পর কারো সাধ্য নেই অবৈধ বা চোরাই চিনি বলার। তিনি আরো বলেন তার হাত অনেক লম্বা পারলে কিছু করিলিও। তাহার সেই বক্তব্যের ভিডিও রেকর্ড এই প্রতিবেদকের হাতে রক্ষিত।
যে সব প্রতিষ্ঠান চোরাই চিনির ব্যবসার সাথে জড়িত তারা হচ্ছে কামনা ষ্টোর, আলম ষ্টোর এর স্বত্ত্বাধীকারী আলম মিয়া, হেলাল ষ্টোর এর স্বত্ত্বাধীকারী হেলাল মিয়া,রহমত ষ্টোর এর স্বত্ত্বাধীকারী রহমত মিয়া, সুমন ব্রার্দাস এর স্বত্ত্বাধীকারী আব্দুল বারী, ফয়েজ ষ্টোর এর স্বত্ত্বাধীকারী ফয়েজ মিয়া, আনোয়ার সুগারমিল এর স্বত্ত্বাধীকারী আনোয়ার হোসেন এবং খান ষ্টোর। এইসব ব্যবসায়ীরা আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় থাকতে দলীয় পরিচয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করতো। সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের কিছু স্থানীয় নেতাকে ম্যানেজ করে দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবৈধ চোরাই চিনির ব্যবসা। পুলিশ ও কিছু হলুদ সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার দায়িত্ব পালন করছে লাইনম্যান ইমন। তাই পুলিশ এসব অবৈধ চোরাচালানের চিনি দেখে ও নাদেখার ভান করছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব ব্যবসায়ীরা পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে তাদের গুদামে অবৈধ চোরাই চিনি মজুদ করে রেখেছেন। স্থানীয়রা এসব অবৈধ চোরাই চিনির ব্যবসা বন্ধে যৌথবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রকাশক: মিসেস মোর্শেদা হাসান, সম্পাদক : কল্লোল পাল সর্দার, প্রধান সম্পাদক : ইমরান হাসনাত জুম্মান(ইউকে প্রবাসী) ,
সহ-সম্পাদক: মো: আল-আমীন, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: রাজা ম্যানশন, জিন্দাবাজার, সিলেট।, মোবাইল: ০১৬০৭৮৯৭৭৯৪
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত